নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। করোনার জেরে বিধ্বস্ত হয়েছে সব কিছু। লকডাউন -এর জেরে সেই গত মার্চ মাস থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি দেশ তথা রাজ্যের নানান ক্ষেত্রের পাশাপাশি বিশেষত শিক্ষা ক্ষেত্রে করোনা এর ভয়াবহ ছাপ সুস্পষ্ট।
রাজ্যে কবে আবার খুলবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তা নিয়ে প্রতি মুহূর্তে চলছে নানান আলোচনা। আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে আগামী ডিসেম্বর থেকে নতুন ভাবে খুলতে পারে বাংলার সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। তবে করোনা -এর ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ এখনও চোখে পড়ার মতো। ফলস্বরূপ আদৌ ডিসেম্বর থেকে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে কিনা তা নিয়ে একপ্রকার সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তাই আজ রবিবার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলি খোলার ব্যাপারে এক নতুন প্রকার সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আজ রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী নতুন করে বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় গুলির উপাচার্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে সামিল হন এবং এখান থেকে যে সিদ্ধান্ত উঠে আসে তাতে স্পষ্ট যে আগামী ডিসেম্বরে কোনো ভাবে খুলছে না কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলি। রাজ্যে এখনও করোনা -এর ক্রমাগত বিস্তারে সেভাবে রাশ টানা যায়নি এবং দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই আগামী ডিসেম্বর থেকে যে খুলছে না কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলি এটি একেবারে পরিষ্কার। তবে শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন আগের মতোই অনলাইনে তথা ভার্চুয়ালি হবে ক্লাস। এবং স্নাতক স্তরের সেমেস্টার -এর পরীক্ষা গুলি অনলাইনের মাধ্যমেই নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয় -এর পাশাপাশি রাজ্যের স্কুল গুলির অবস্থাও একই। কবে খুলবে বিভিন্ন স্কুল গুলি তা নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। অন্যদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এর ফাইনাল পরীক্ষার সিলবাস -এর ক্ষেত্রে বিরাট পরিবর্তন দেখা গিয়েছে এ বছর। পরীক্ষার সিলবাসে হ্রাস ঘটানো হলেও পরীক্ষার যথাযথ রুটিন নিয়ে আবার শুরু হয়েছে বিরাট জল্পনা তথা টানাপোড়েন এর।
আদৌ কি এবছর রাজ্যের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব হবে তা নিয়ে একটি কিন্তু কিন্তু ভাব থেকেই যায়। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।