ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ পেতেই ফের নেপটিসম ও দুর্নীতির ছাপ! মামলা হাইকোর্টে
কথায় আছে, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই সন্ধ্যা হয়। ঠিক অনেকটা এমনই বঙ্গের উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। আগের মতো আরও একবার বিশাল কারচুপি তথা দুর্নীতির ছাপ চোখে পড়লো আজ উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে, যখন প্রকাশ পেয়ে সামনে এলো ইন্টারভিউ লিস্ট।
আগের বার নেপটিসম তথা স্বজন পোষণ এবং দুর্নীতির কবলে পড়তে হয়েছিল এসএসসি -এর তত্ত্বাবধানে আপার প্রাইমারি -এর নিয়োগ প্রক্রিয়াকে যার জেরে কলকাতা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের একাংশকে। এর জেরে ১১ ডিসেম্বর থমকে যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া যখন হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য্য -এর এজলাসে খারিজ টানা হয় নিয়োগে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী এবং কথামত ৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এবং আগামী ৩১ জুলাই এর মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার আশ্বাস দেওয়া হয় এসএসসি -এর পক্ষ থেকে।
যাইহোক ২০ জানুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত অনলাইনে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন হওয়ার পর একপ্রকার ডুমুরের ফুল হতে শুরু করে নিয়োগ প্রক্রিয়া। বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য্য -এর নির্দেশ মতো ১০ মে এর মধ্যে ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ করতে অসফল হয় এসএসসি। যাইহোক নানা টানাপোড়েনের পর আজ তথা ২১ জুন তালিকা প্রকাশ করা হলেও তা যে পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত তা কিন্তু একেবারেই নয়। ঠিক আগের মতোই স্বজনপোষণ এবং একপ্রকার দুর্নীতি চোখে পড়েছে ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশের ক্ষেত্রে। এদিকে আইনজীবী ফিরদৌস শামীম -এর মতে, ইন্টারভিউ লিস্ট প্রকাশ পেয়েছে দুর্নীতির সঙ্গ নিয়ে, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের দাবি অনুযায়ী, লিস্টে বর্ণমালা অনুযায়ী নাম প্রকাশ করা হলেও সেখানে উল্লেখ নেই টেট এবং অ্যাকাডেমিক -এর প্রাপ্ত নম্বর। তাদের আরও দাবিদাওয়া অনুযায়ী, আইন মেনে প্রকাশ পায়নি লিস্ট যার জেরে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে তারা।