যদিও প্রথম দিকে অতটাও প্রভাব বোঝা যায়নি, তবে গভীর রাতে আচমকা স্থলভাগের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো তীব্র ঘূর্ণিঝড় তথা নিভার। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বিশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী মোটামুটি রাত আড়াইটার কাছাকাছি সময় থেকেই নিজের প্রকৃত ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে শুরু করেছে বিধ্বংসী এই দানব।
বেশি দিন হয়ে উঠেনি। এখনও মানুষের মনে জ্বলজ্বল করছে আম্ফানের ভয়াবহ ও বিধ্বংসী স্মৃতি। এরই মাঝে আতঙ্কের আরেক নাম নীভার। কেউ বলছেন বছরটি সত্যিই অভিশপ্ত।
গত বুধবার থেকে দক্ষিণ ভারত তথা অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিনাড়ু নানান প্রান্তে সঙ্গে পুদুচেরিতে শুরু হয় অতি ভারী বৃষ্টিপাত। এবং এরই সঙ্গে জন্ম নেই বিধ্বংসী এই দানব নিভার। এবং ঝড় বৃষ্টির সঙ্গী হয়ে আছরে পড়তে শুরু করে উপকূলবর্তী এলাকায়। বাংলায় আম্ফান -এর মত কতটা ভয়াবহ-ধ্বংসাত্মক রূপ নিতে পরে নিভার এই ভেবেই বেশ চিন্তায় পড়েছেন বিশেষজ্ঞরা তথা আবহাওয়াবিদরা।
সর্বভারতীয় সরকারি সূত্র অনুযায়ী, উপকূলবর্তী এলাকায় সজোরে আঘাত হানার সঙ্গে সঙ্গেই বেশ কিছু উপকূলবর্তী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে কিছুটা শক্তি হারিয়ে ফেলেছে নিভার। তবে আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী আবারও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধরে পুনরায় ফিরে আসার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে নিভার -এর। কিছু কিছু উপকূলবর্তী এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে এবং জলমগ্ন হয়েছে এলাকাগুলি। এসব এলাকা থেকে মানুষজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানগুলিতে। সঙ্গে জারি করা হয়েছে বিশেষ সতর্কবার্তা।
আমফান -এর আতঙ্ক এখনও রয়ে গিয়েছে বঙ্গবাসীর মনেপ্রাণে। তাই নিভার নিয়ে একটু আশঙ্কা থেকেই যায় তাদের মনে। তবে আপাতত বাংলা অনেকটাই নিরাপদে রয়েছে এবং এখানে এখন কোনরকম ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা নেই বলে দাবি আবহাওয়াবিদদের।