নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গের প্রাইমারি টেট! বাংলার সকল শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক অভিশাপ, এক ঐতিহাসিক কলঙ্ক হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে, সে প্রাইমারি টেট হোক কিংবা এসএসসি বা অন্য কিছু, আগাগোড়াই ঘটে আসছে নানান টানাপোড়েন ও জল্পনা। বাংলার শিক্ষক নিয়োগ যে কতটা অনিয়মিত ও ডুমুরের ফুল তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
যাইহোক এবার রাজ্যের প্রাইমারি টেট পরীক্ষা অবশ্যম্ভাবী। দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে নানান টানাপোড়েনের পর ঘটতে চলেছে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ। এক সূত্র অনুযায়ী, এবছর পুজোর আগেই আবার নতুন করে জারি করা হবে বিজ্ঞপ্তি, যার ভিত্তিতে করা হবে প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ। খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গে আলোচনা সভা করে তা নিশ্চিত করলেন।
রাজ্যে ২০১৫ সালে শেষ বারের মতো হয়েছিল টেট পরীক্ষা এবং ২০১৬ তে নিয়োগ করা হয়, যা হয়েছিল দীর্ঘকাল ধরে। সেই সময় প্রাথমিক স্কুল গুলিতে শূন্যপদ ছিল অঢেল। তারপর ২০১৭ সালে শেষ বারের মত ফের বিজ্ঞপ্তি জারি হয় প্রাথমিক টেট পরীক্ষার। বুকে আশা নিয়ে আবেদন করেছিলো অনেক D.El.Ed করা পড়ুয়ারা। রাত দিন এক করে পরীক্ষার জন্য নিয়েছিল তারা প্রস্তুতি। তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করছিল টেট পরীক্ষার দিনের জন্য। কিন্তু কোনো ফল হলো না। মনে আশা জাগিয়ে নিরাশ করেছিল পড়ুয়াদের রাজ্য সরকার। তারপর দীর্ঘ গত ৩ বছর ধরে কোনো খোঁজ নেই প্রাইমারি পরীক্ষার।
যাইহোক, সব ইতিহাস ভুলে গিয়ে এবার আবার একুশের ভোটকে সামনে রেখে পুজোর আগেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্যে হতে চলেছে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা। এবার আবার নতুন করে মনে আশা জাগবে, মুখে হাসি ফুটবে রাজ্যের D.El.Ed প্রার্থীদের। শূন্যপদ সম্পর্কে কোনো পরিষ্কার তথ্য না দিলেও মোটামুটি ১৭ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে মোট পদ, এবং এর বেশি ছাড়া কম হবে না।
যারা আগেই ২০১৭ সালে অনলাইনে পরীক্ষার জন্য আবেদন করে রেখেছে তাদের আর নতুন করে করতে হবে না আবেদন। যারা নতুন D.El.Ed প্রার্থী শুধুমাত্র তাদের করতে হবে নতুন করে আবেদন। সেক্ষেত্রে আগে যারা ২০১৭ সালে আবেদন করেছিলো তাদের শুধু অনলাইনে রিনিউ করতে হবে।