আজ ২১ জুন, সোমবার দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর প্রকাশ পেল উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউ লিস্ট। আজ সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে পুজোর আগেই নিয়োগ সম্পন্ন করা হবে আপার প্রাইমারি -এর। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, মোট ১৪,০০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদে। সঙ্গে তিনি আজ এও জানিয়েছেন যে মোট দুটি খাতে অর্থাৎ ১০,৫০০ এবং ৭,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে প্রাইমারি তথা প্রাথমিক শিক্ষকদের। এবং এদের মধ্যে ১০,৫০০ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হবে পুজোর আগে এবং ৭,৫০০ শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ হবে পুজোর পর আগামী বছর মার্চ মাসের মধ্যে। এবং সব মিলিয়ে মোট ৩২ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। কিন্তু ঠিক এখান থেকেই শুরু হয়েছে মূল সংশয়ের।
১০,৫০০ এবং ৭,৫০০ শূন্যপদে ঠিক কাদের নিয়োগ করা হবে, সে বিষয়ে স্বচ্ছ ভাবে কিছু বলা হয়নি। ঠিক এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায় – যারা ২০১৭ -এর টেট ২০২১ সালের গত ৩১ জানুয়ারি দিয়েছে তারা। আর আরেক শ্রেণী হলো যারা ২০১৫ তে টেট দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। এই ১০,৫০০ এবং ৭,৫০০ শূন্যপদে দুই শ্রেণীর টেট প্রার্থীদের মধ্যে ঠিক কাদের নিয়োগ করা হতে পারে এটিই এখন মূল দেখার বিষয়। এখানে আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য সেটি হলো ভোটের আগে যে ১৬,৫০০ নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল সেটির কি খবর? সেই ১৬,৫০০ শূন্যপদের নিয়োগটিই কি তবে আজ ঘোষিত ১০,৫০০ ও ৭,৫০০ -কে নির্দেশ করছে? এই ভাবে হিসেব করলে আবার হিসেব গড়মিল হয়ে যায়, কারন ১০,৫০০ এবং ৭,৫০০ এর যোগফল মোট ১৮,০০০ শূন্যপদ।
আপাতত আজ মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী যা বোঝা যায়, হয়তো ১৬,৫০০ শূন্যপদের যে নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছিল সেটি ছিল মূলত নন ইনক্লুডেড তথা ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের জন্য, যারা পাশ করেছিল। তাদের কিছু নিয়োগ করার পর বাকি পদে অর্থাৎ ১০,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে পুজোর আগে। এবং সেক্ষেত্রে ৭,৫০০ শূন্যপদ পুরোপুরি নতুন টেট পরীক্ষা প্রার্থী অর্থাৎ যারা ২০১৭ -এর টেট এই বছর ৩১ জানুয়ারিতে দিয়েছে তাদের জন্য। এই শূন্যপদে এদের মূলত পুজোর পর আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে করা হবে নিয়োগ।