হতে চলেছে ৩৫ লক্ষ নিয়োগ, প্রত্যেককে দেওয়া হবে বাইক কেনার জন্য টাকা! ঐতিহাসিক ঘোষণা মমতা সরকারের


লক্ষ্য একুশের ভোট। তার আগেই এক বিরাট ঘোষণা মমতার সরকারের। এক ঐতিহাসিক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির তিনি। আগামী ৩ বছরে ৩৫ লক্ষ চাকরির ঘোষণা করলেন মমতাময়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমগ্র দেশ তথা রাজ্যের এখন এক অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো বেকার সমস্যা। তাই এ সমস্যা মেটাতে খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরাট সংখ্যক চাকরির কথা বলেছেন তার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে। পুজো পের হতে না হতেই তিনি নেমে পড়েছেন নির্বাচনের কাজে গতি আনতে। তাই নবান্নের পক্ষ থেকে এক প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে যেখানে উঠে এসেছে স্বনিযুক্তির বিশেষ কয়েকটি প্রকল্পের কথা।




একুশের ভোট চলে এলো প্রায়। তাই রাজ্যের অন্যতম প্রধান সমস্যা তথা বেকার সমস্যা নিয়ে এক প্রকার ভাবুক হয়ে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে আগামী ৩ বছরে যে ৩৫ লক্ষ চাকরির ঘোষণা হয়েছে তার মধ্যে ১৫ লক্ষ নিয়োগই হবে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র ও-ছোটো মাঝারি শিল্পে। সঙ্গে রাজ্যের তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ বেকার যুবককে নিয়োগ করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, খোদ দিদি ১০ লক্ষ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চলেছেন হ্যান্ডলুম ও অন্যান্য নানান সেক্টরে।



এছাড়াও রাজ্যের বেকার সমস্যায় কিছুটা রাশ টানতে মুখ্যমন্ত্রী এক নয়া প্রকল্পের কথা বলেছেন। এর দ্বারা বঙ্গের যুবক-যুবতীদের বাইক কেনার জন্য কিছু সহজ শর্তে ঋণ দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। মূলত কো-অপারেটিভ ব্যাংক থেকে দেওয়া হবে এই ঋণ যা নিয়ে তারা বাইক কিনে তাতে বক্স লাগিয়ে শাড়ি বা ফল অথবা অন্য কোনো কিছু নিয়ে বিক্রি করে কেউ চাইলেই জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে কমপক্ষে ১০ লক্ষ লোক উপকৃত হবেন এই বিশেষ প্রকল্পের দ্বারা। এই বছর করোনার জেরে কোনো মেলা সংগঠিত না হাওয়ায় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে বিভিন্ন ছোটো দোকানদার এবং ক্ষুদ্র কুটির শিল্পীদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে আশ্বাস দিয়েছেন যে কালীপুজোর পরে বিশেষ সতর্কবার্তা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই মেলার অনুমতি দেওয়া হবে।

Leave a comment