নিজস্ব সংবাদদাতা: অনিশ্চিয়তার আরেক নাম পশ্চিমবঙ্গের
PRIMARY TET পরীক্ষা, যা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। টেট এর রেজাল্ট এর দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরে নানান ভাবে দাবি তুলছিলো রাজ্যের 2017 সালের টেট পরীক্ষা প্রার্থীরা। আজ তার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটল রাজপথে, তথা APC ভবনের সামনে। এখানে এক বিরাট অভিযানে রীতিমতো ফেটে পড়ে পরীক্ষা প্রার্থীরা। তাদের দাবি একটাই- PRIMARY TET 2017 এর রেজাল্ট চাই।উল্লেখ্য, 2017 সালে প্রকাশ পেয়েছিলো রাজ্যে শেষ বারের মতো টেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি। এবং তারপর থেকেই কাল নেমে এলো 2017 সালে টেট পরীক্ষায় আবেদনকারী চাকরি প্রার্থীদের ওপর। শুধু একটা পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতেই তাদের বারংবার ছুটতে হলো কলকাতার রাজপথে। 2017 থেকে 2020 সাল পর্যন্ত টানা 3 বছর ধরে প্রাথমিক পর্ষদের খামখেয়ালীপনার জন্যই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাস্তায় রাস্তায় নামতে বাধ্য হতে হয় চাকরি প্রার্থীদের শুধু একটি পরীক্ষা সংঘটিত করতে। যাইহোক নানান টানাপোড়েনের শেষ অব্দি এক প্রকার বাধ্য হয়ে রাজ্য সরকার তথা পর্ষদ 2021 সালের 31 জানুয়ারি রাজ্যে দীর্ঘ 4 বছর পর 2017 সালের টেট পরীক্ষার আয়োজন করে।
তবে এখানেই শেষ নেই। পরীক্ষার পরে এবার রেজাল্ট নিয়ে শুরু হলো এক বিরাট জল্পনা। সুদীর্ঘ 10 মাস হতে চলল, তবুও কোনো খবর নেই রেজাল্টের। এখানে আরেকটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য পর্ষদ সভাপতী মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় টেট পরীক্ষার পরপরই বলেছিলেন যে পুজোর আগেই প্রকাশ পাবে টেটের রেজাল্ট। কিন্তু তিনি তার কথা রাখতে পারেননি। যার ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে চাকরি প্রার্থীরা।
ফলস্বরূপ আজ সোমবার, 22 নভেম্বর 2017 এর টেট প্রার্থীরা তাদের মনে জমে থাকা দুঃখ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় APC ভবনের সামনে। টেট চাকরি প্রার্থীদের দাবী মূলত-
- সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে দ্রুত 2017 সালের টেটের রেজাল্ট ও আপডেট শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে।
- 2017 সালের টেটের সকল সফল চাকরি প্রার্থীদের জেলা ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান সুনিশ্চিত করতে হবে।
- সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়ে 2022 সালের 31 মার্চের আগে টেট নিতে হবে।
- NCTE এর কালা আইন প্রত্যাহার করে প্রাইমারিতে D.El.Ed যোগ্যতার মাপকাঠি বজায় রাখতে হবে।
মূলত এসব মুল দাবিদাওয়ার নিয়ে আজ টেট প্রার্থীরা কোলকাতার করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে APC ভবনের উদ্যেশ্যে এক অভিযান চালিয়ে যায়। এক চাকরি প্রার্থী দাবী জানাই যে, তারা যখন 2017 টেটের দাবিতে হাই কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলো তখন কোর্ট থেকে জানানো হয় যে- নিয়োগের জন্য কোনো শূন্যপদ নেই। আরেক প্রার্থী ক্ষোভে ফেটে পড়ে 2020 সালের এক অবৈধ টেট নিয়োগের কথা তোলে।
যাইহোক চাপে পড়ে শেষ অব্দি মানিকবাবু আগামী 26 নভেম্বর টেট প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বলে জানিয়েছেন। আপাতত যা বোঝা জাচ্ছে, টেটের রেসাল্ট নিয়ে কিছু ইতিবাচক খবর বেরোতে পারে। এখন রাজ্য সরকার তথা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং সময়ের ওপর সব কিছু নির্ভর করছে।